পরিমানঃ৫ গ্রাম

শিলাজিতের উপকারিতঃ

1. ওজন কমানোয় সহায়তাঃ

ক্লিনিকাল গবেষণা ইঙ্গিত করে যে শিলাজিতে কিছু সক্রিয় মৌল রয়েছে যা BMI বাড়িয়ে ওজন ও কোমরের পরিধি কমাতে সাহায্য করে।

2. কোষ্ঠকাঠিণ্য কমায়ঃ

শিলাজিৎ শরীরে টনিকের মত কাজ করে যার ফলে এটি অন্ত্রের পেশীগুলিকে শক্ত করে হজমে সাহায্য করে এবং শরীর থেকে খাদ্য নিষ্কাশন করে কোষ্ঠকাঠিণ্য থেকে মুক্তি দেয়ে।

3. শুক্রাণুর গুন্তি বাড়ায়ঃ

1.5 মাস ধরে নিয়মিত শিলাজিৎ সেবন করলে তা বীজকোষ উদ্দীপক হরমোন বাড়িয়ে তোলে যার ফলে এটি শুক্রাণুর গুন্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রে যে বিশেষ ভাবে কার্যকরর্য তা দেখা গেছে।

4. পাহাড়ি অসুস্থতা থেকে মুক্তি দেয়ঃ

উচ্চতার কারণে হওয়া অসুস্থতার সার্বিকর্বি সমাধান হল শিলাজিৎ। এটি যে শুধুমাত্র চাপ ও উদ্বেগ থেকেই মুক্তি দেয় তা নয়, উচ্চতার কারণে হওয়া ফুসফুসের সমস্যা হাইপক্সিয়াও কমিয়ে দেয়।

5. রক্তাল্পতা থেকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেয়ঃ

শিলাজিৎ হল লোহার একটি ভাল উৎস, যা হিমোগ্লোবিন ও লাল রক্তকোষের গুন্তি বাড়ায়। টনিক হওয়ার কারণে এটি রক্তাল্পতাগ্রস্ত লোকজনদের মধ্যে দুর্বলর্বতা ও ক্লান্তি কমায়।

6. অ্যালজাইমার’স অগ্রগতি থামায়ঃ

গবেষণায় প্রমাণিত তথ্য ইঙ্গিত করে যে শিলাজিতে থাকা ফাল্ভিক অ্যাসিড মস্তিষ্কে টাউ প্রোটিনের অতিরিক্ত পুঞ্জিভূত হওয়া রোধ করে, অন্যভাবে বলতে গেলে যা স্নায়ুক্ষয় ও অ্যালজাইমার’স হওয়ার কারণ,তা আটকায়।

7. পাকস্থলিতে ঘা হওয়া আটকায়ঃ

শিলাজিৎ গ্যাস্ট্রিক নিঃসরণ কমিয়ে পাকস্থলির আস্তরণকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে আল্সার হওয়া রোধ করে বলে শোনা যায়।

শিলাজিৎ সেবনঃ

আদর্শভাবে কোনও বিশেষ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া ৩০০-৫০০মিঃগ্রাঃ শিলাজিৎ রোজ খাওয়া যায়। আয়ুর্বেদিক ডাক্তারেরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন ১-৩ফোঁটা তরল শিলাজিৎ দুধের সাথে মিশিয় খাওয়ার ভাল স্বাস্থ্য উপভোগ করার জন্য।শিলাজিতের সঠিক ডোজ এবং খাওয়ার মেয়াদ বয়স এবং শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে থাকে তাই আপনার জন্য শিলাজিতের ডোজ নির্ধারণ করার জন্য একজন আয়ুর্বেদিক ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নেওয়া শ্রেয় ।