সরিষা ফুলের মধু স্বভাবতই জমে যায়। তখন এটাকে দেখতে অনেকটা ক্রিমের মত লাগে। খেতেও দানাদার এবং ক্রিমি হয় ।আর তাই এটিকে ক্রিম হানি নামকরণ করা হয় ।
মধুর কার্বোহাইড্রেট গঠনে দুটি প্রধান উপাদান হল গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ।এগুলো হচ্ছে ইনভার্টেড সুগার। যদি কোনো মধুতে গ্লুকোজের পরিমাণ ফ্রুক্টোজের চেয়ে বেশি থাকে তখন সে মধু অল্প সময়ের ব্যবধানেই দানাদার হয়।
সরিষা ফুলের মধু শীতকালে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই জমে যায়, আর গরমের সময় জমতে একটু দেরি হয়, কয়েক সপ্তাহ অথবা ২/৩ মাস বা এর চেয়ে একটু বেশি সময় ও লেগে যেতে পারে। তবে জমবেই। আর যদি না জমে, তাহলে বুঝতে হবে ওই মধুতে সমস্যা আছে। এই জমা মধুই উন্নত বিশ্বে ক্রিম হানি নামে পরিচিত।
বোতলে রাখা সরিষা ফুলের মধুর পুরোটাই জমে যেতে পারে অথবা বেশিরভাগ অংশ বা আংশিক জমে যাবে। সরিষা ফুলের মধু জমে অনেকটা ঘি এর রূপ ধারণ করে। জমে যাওয়া মধু মোলায়েম, নরম ও ছোট ছোট দানাদার হবে।